ফারুক আহমদ-
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে পাথর উত্তোলনে স্থগিতাদেশের কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে এই অঞ্চলের পাথরউত্তোলনে আর কোনো বাঁধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (১৭ জানুয়ারি) বিচারপতিজেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হইকোরর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেনআইনজীবী হাবিব উন নবী।
উল্লেখ্য পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে ২০১৬ সালের ১লা সেপ্টেম্বর সিলেটের জাফলং, ভোলাগঞ্জ, শাহ আরেফিন টিলা, বিছানাকান্দি ওলোভাছড়ার পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।এর আগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদসমিতি (বেলা)-এর দায়ের করা একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোতে সব ধরনের যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেন উচ্চআদালত। সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে আন্দোলন করে আসছেন পাথর ব্যবসায়ীরা। পরেআন্দোলনে তাদের সঙ্গে যু’ক্ত হন পরিবহন ব্যবসায়ীরাও। কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের দাবিতে গত মাসে টানা তিনদিন ধর্মঘটও করেপরিবহন মালিক শ্রমিকরা।
সিলেটের কোয়ারিগুলো থেকে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর আহরণের অনুমতি প্রদানের দাবিতে প্রায় ৪ মাস ধরে তারা আন্দোলন করছেন তারা।
ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী, খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ সব পর্যায়েরনীতিনির্ধারকদের কাছে একাধিকবার স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। যদিও পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে পরিবেশকর্মীরা পাথর উত্তোলন বন্ধ রাখার দাবিজানিয়ে আসছেন।