স্পোর্টস ডেস্ক-
করোনার শুরুর দিকে লকডাউনে দেশের তো বটেই, বৈশ্বিক ক্রিকেটের বড় বড় তারকাদের নিয়েও লাইভ করেছেন তামিম ইকবাল। কিন্তু তার লাইভে দেখা মেলেনি সাকিব আল হাসানের। তামিমের লাইভ আয়োজনের শেষ দিনে এক হয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমও। কিন্তু পঞ্চপাণ্ডবের আরেক তারকা সাকিব যোগ দেননি এদিনও।
এ নিয়ে ভক্তদের মাঝে অনেক ফিসফাসই রটেছে। কারও কারও মতে, সাকিব-তামিমের বন্ধুত্ব আগের মত নেই বলেই সাকিবের এই এড়িয়ে চলা। সে সময় তামিম জানিয়েছিলেন, লাইভ অনুষ্ঠান শুরুর সময়েই তিনি যোগাযোগ করেন সাকিবের সাথে। লাইভে যুক্ত হওয়ার আমন্ত্রণ জানান দীর্ঘদিনের সতীর্থ ও বন্ধুকে। সাকিব ব্যক্তিগত ব্যস্ততায় শেষপর্যন্ত সময় করে উঠতে পারেননি।
অবশেষে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন সাকিব নিজেই। দেশের এক বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব অবশ্য লাইভে না আসার পেছনে ব্যক্তিগত কারণকেই দায়ী করেছেন। তবে খোলাসা করেছেন পুরো বিষয়টি।
সাকিব তখন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। তার দ্বিতীয় সন্তান ইরাম হাসান মাত্র পৃথিবীর আলো দেখেছে। তিনি বলেন, ‘ঐ সময়টায় আমার দ্বিতীয় মেয়ে কেবল হল। করোনার কারণে হেল্পিং হ্যান্ড খুবই কম ছিল। আমি সারারাত ডিউটি করতাম, রাত দশটা থেকে ভোর ৬-৭টা পর্যন্ত। এরপর আমার শাশুড়ি বা স্ত্রী আসতেন।’
সারারাত ধরে সন্তানের দেখাশোনার পর সাকিব যে সময়ে ঘুমাতেন, ঐ সময়েই লাইভ করতেন তামিমরা। সাকিব তাই কোনোবারই তামিমদের আড্ডায় শরীক হতে পারেননি।
সাকিব জানান, ‘সারারাত যেহেতু মেয়ের দেখাশোনা করতাম, স্বাভাবিকভাবেই ওদের সময়ের সাথে মেলানো আমার পক্ষে সম্ভব না। ওদের সময় সকাল ৮-৯টা, তখন আমার সকাল, আমি ঘুম। জেগে থাকার কোনো সুযোগই নেই কারণ আমি সারারাত জেগে ছিলাম প্রথম তিন মাস। স্বাভাবিকভাবেই সময় মেলানো খুব কঠিন ছিল। এছাড়া আর কোনো ইস্যু নেই।