বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক-
চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে সব অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধ হবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর শিকদার। এতে বর্তমানে যে হ্যান্ডসেটগুলো গ্রাহকের হাতে রয়েছে তা নিয়ে জনমনে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে বর্তমানে যেসব অবৈধ হ্যান্ডসেটে সংযোগ চালু আছে সেগুলো নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) রাজধানীর রমনায় বিটিআরসি কার্যালয়ে টেলিকম সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ১ জুলাই সব চালু সেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপারেটরদের মাধ্যমে নিবন্ধন হয়ে যাবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, গ্রাহকদের কোনো সমস্যায় ফেলতে চাই না আমরা। গ্রাহকের হাতে থাকা হ্যান্ডসেটগুলোতে অটোমেটিক সিস্টেমে নিবন্ধন করতে চাই। তবে, নতুন হ্যান্ডসেট যেগুলো আসবে সেগুলো অবশ্যই নিবন্ধন হয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো ১৬ জানুয়ারি ম্যানুয়ালি জানাবে নতুন কোন হ্যান্ডসেটগুলো তাদের নেটওয়ার্কে আছে। এগুলো ম্যানুয়ালি অননেট চেক করে পরবর্তী সাতদিনের মধ্যে জানানো হবে সেটটি বৈধ কি অবৈধ। সে হিসেবে পরবর্তী কাজ করা হবে।
অবৈধ মোবাইল সেট বন্ধ ও বৈধ সেটের নিবন্ধনে ডিসেম্বরে বিটিআরসির সঙ্গে চুক্তি করে দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠান। চুক্তি অনুযায়ী ১২০ কার্যদিবসের মধ্যে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার্ড (এনইআইআর) সিস্টেম চালু করতে হবে তাদেরকে।
বিটিআরসির তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪ কোটি আইএমআই নম্বর এবং সাত কোটি মোবাইল সেটের তথ্য নক অটোমেশন অ্যান্ড আইএমইআই ডেটাবেজ (এনএআইডি) সিস্টেমে সংযোজিত হয়েছে। এ সিস্টেমের আইএমইআইগুলো, মোবাইল অপারেটরের ইআইআর এবং বিটিআরসিতে স্থাপিত জাতীয় পর্যায়ের কেন্দ্রীয় এনইআইআর একটি সমন্বিত সিস্টেম হিসেবে কাজ করবে। এনইআইআর সিস্টেমটি সরাসরি প্রত্যেক মোবাইল অপারেটরের নিজ নিজ ইআইআরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে।
গ্রাহকদের মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়ে চালু হবে। দেশে নিবন্ধনহীন মোবাইলের সংখ্যা প্রায় তিন কোটি।
এদিকে, দেশের বাইরে থেকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কেনা হ্যান্ডসেট বা উপহার হিসেবে আসা স্মার্টফোনগুলো গ্রাহকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এনইআইআর এর ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে কেনার রসিদ যাচাই করে এবং যেসব সেট উপহারের যথেষ্ট প্রমাণ যাচাই-বাছাই করে বিটিআরসির সিদ্ধান্তে এনইআইআরে সক্রিয় করা হবে।