নিজস্ব প্রতিবেদক-
ভাগ্য ফেরানুর জন্য বিদেশ পারি দিচ্ছেন বাংলাদেশি অনেক নারী। কিন্তু ভাগ্য আর ফিরছে কোথায়। শারীরীক ও মানসিক নির্যাতনে অনেক কর্মী দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছে।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বর্তমানে সৌদি আরবে ২ লাখ ২০ হাজার নারী কর্মরত আছেন। এদের মধ্যে ৫৩ জনের মৃতদেহ ফিরে এসেছে যা খুবই নগণ্য।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর নিয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
সৌদি আরব থেকে নির্যাতিত হয়ে ফেরা নারীর সংখ্যা খুব বেশি নয় উল্লেখে করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাত্র ৮ হাজার নারী ফিরে এসেছেন যা খুবই নগন্য। তিনি বলেন, নারীরা দূতাবাসের শেল্টারহোমে অভিযোগ না করে দেশে এসে অত্যাচারের কথা বলেন।যদি সংখ্যা দেখেন তাহলে খুবই ছোট একটা সংখ্যা। ৯৯ শতাংশ নারী ম্যানেজ করে নিয়েছেন, দেশে তারাও টাকাও পাঠাচ্ছেন। অনেকে আন্দোলন করছেন নারীদের যাওয়া বন্ধ করে দেয়া, নারী যাওয়া বন্ধ করে দেয়া, আমি জানি না, নারীরা এটাকে কীভাবে দেখবেন। তাদের কাজের জায়গা কমিয়ে দিচ্ছেন, যারা (এনজিও) দাবি করছেন তাদের চাকরি দেবেন না বিদেশে। তারা কি চাকরি জোগার করে দেবেন ওইসব নারীদের? দেশে থাকলে কি ভালো চাকরি হবে তাদের, এমন প্রশ্ন রাখেন মন্ত্রী।
বিদেশে নারী গৃহকর্মী পাঠানো বন্ধের বিষয়েও এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে বিকাশমান অর্থনীতিতে পুরুষের পাশাপাশি অবদান রেখে চলেছেন বিপুল সংখ্যক নারী।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রেমিটেন্স যোদ্ধাদের তালিকায় নারীর অন্তর্ভুক্তি নিঃন্দেহে ছিল সুখকর। কিন্তু কয়েকবছর না যেতেই উল্টো চিত্র। উঠে আসছে গৃহকর্তাদের নির্যাতনের ভয়াবহ সব ঘটনা। বিশেষ করে তাদের ওপর যৌন ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় এখনই নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধের দাবি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের।
আন্দোলন৭১/এএইচ